দিঘার প্রতিটি হোটেলের বাইরে এবার থেকে বসানো হবে পর্যটকদের জন্য তথ্যসংবলিত বোর্ড। এই বোর্ডে থাকবে হোটেলের নাম, লাইসেন্স নম্বর, রুম ভাড়া, জরুরি পরিষেবার নম্বর সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
পর্যটকদের অভিযোগ, পুরোনো দিঘা থেকে নিউ দিঘা যাওয়ার টোটো ভাড়া, যা আগে ছিল মাত্র ২০ টাকা, এখন তা বেড়ে মাথাপিছু ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। শুধু হোটেল নয়, রাস্তার পাশের ছোট খাবারের দোকানগুলিতেও দামের বাড়াবাড়ি দেখা যাচ্ছে, যা পর্যটকদের নাভিশ্বাস তুলছে।
দিঘায় একাধিক পর্যটক হয়রানির অভিযোগ ওঠে, যার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী দিঘা সফরের সময় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি কড়া নির্দেশ দেন, যাতে পর্যটকদের সঙ্গে কোনও ধরনের প্রতারণা বা হয়রানি না হয়। তাঁর সেই ধমকের পরেই প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে এই পদক্ষেপ। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের অসন্তোষের মুখে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এই তথ্য বোর্ড বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এমনকি যেসব হোটেল এটি মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।
পর্যটন দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, "এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দিঘায় বেড়াতে আসা মানুষদের স্বচ্ছ পরিষেবা ও নিরাপদ অভিজ্ঞতা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।"
উল্লেখ্য, দিঘা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্রতট, যেখানে বছরে লক্ষাধিক পর্যটক ভিড় জমান। এই ধরনের প্রশাসনিক তৎপরতায় তাঁদের অভিজ্ঞতা আরও ইতিবাচক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।