হাওড়ার বাঁকড়া, মুন্সিডাঙা নিবাসী ৩২ বছর বয়সী টিনা বেগম পেটের তীব্র যন্ত্রণায় স্থানীয় এক নার্সিংহোমে ভর্তি হন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেওয়া এক ইনজেকশনের পর তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক পরিণতিতে অচিরেই অবনতি ঘটে। এরপর রাত ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয় ওই বধূর।
রোগীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শত শত এলাকার মানুষ ভাঙচুরের অভিযোগে নার্সিংহোমে ছুটে আসে। তাঁরা টেবিল, চেয়ার, আসবাবপত্র, সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে শুরু করে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি পর্যন্ত ভেঙে ফেলে. পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভাঙচুর শুরু হয় ঘটনার মাত্র এক ঘন্টার মধ্যেই।
বাঁকড়া ফাঁড়ি এবং র্যাফ (র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স) এসে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসী জানান, নার্সিংহোমে আগে থেকেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল; এটি তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের কারণ ছিল।
আক্রান্তদের অভিযোগ অনুযায়ী, নার্সিংহোমের কর্মকর্তা ও কর্মীরা ভাঙচুর শুরু হতেই দ্রুত পালিয়ে যান। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে, তবে এখনও কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।
স্থানীয়দের দাবি, ওই নার্সিংহোমে যেকোনো ধরনের জরুরি চিকিৎসা বা সঠিক নজরদারি ছিল না। চিকিৎসকদের দায় তুলে ধরে কর্তৃপক্ষের প্রতি দায় নিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালিয়ে আইনক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। এই ঘটনাস্থল জনবহুল ও গভীর প্রভাবিত হওয়ায়, এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে নার্সিংহোম ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রণালী নিয়ে ব্ল্যাঙ্কেট স্যাঁটে উদ্বেগ ও সংশয় দেখা দিয়েছে।