এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। আদালত সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, সোমবার এই মামলার শুনানিতে বারবার কাউন্সিলরদের দুর্নীতির বিষয়টিকে তুলে ধরছিলেন সরকারের তরফের আইনজীবী। মা ক্যান্টিন, স্বচ্ছ ভারত অভিযান থেকে শুরু করে রাস্তার আলো লাগানোর নামে কয়েক লক্ষ টাকা তছরুপ করেছেন কাউন্সিলররা। সেই জন্য এহেন 'দুর্নীতিগ্রস্ত' কাউন্সিলরদের হাতে যাতে কিছুতেই ক্ষমতা না ফেরানো হয়, সেই বিষয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবীরা সওয়াল করেন। যদিও তাতে মান্যতা দেননি বিচারপতি কৌশিক চন্দ। রাজ্যের প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ক নির্দেশিকাকে এদিন নাকচ করে দেয় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গেই পুরসভার কাউন্সিলরদেরই সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়। আদালত স্পষ্ট জানায়, পুর আইন মেনে আবার চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হবে।
একইসঙ্গে জাস্টিস চন্দ জানান, রঘুনাথপুর পুরসভার কাউন্সিলররা যদি কোনও অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সেটা মেনে পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। তবে জনপ্রতিনিধিদের কোনও রকম শোকজ না করে সরাসরি বোর্ড ভেঙে দেওয়া যায় না।