বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালে সৃষ্টি হয়
অচলাবস্থার। স্পিকারের নির্দেশ না মানা, বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং অধিবেশন পরিচালনায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও ও শঙ্কর ঘোষকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা সভা কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন।
সূত্রের খবর, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন বিজেপির বেঞ্চ থেকে শিখা চট্টোপাধ্যায়, যিনি বিজেপি বিধায়ক এবং একসময়ের তৃণমূলনেত্রী, তিনি একটি মন্তব্য করেন এবং তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্য থামিয়ে প্রত্যুত্তরে বলেন, বেশি কথা বলবেন না। আপনি কী করেন সবটাই আমি জানি। এই কথা শুনেই বিজেপির শঙ্কর ঘোষ-সহ অন্যান্য বিধায়করা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তারপরই হট্টগোল শুরু হয় বিধানসভা কক্ষে। তাঁদের বক্তব্য এর আগের দিনও অগ্নিমিত্রা পালের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। এরপরই কক্ষে হট্টগোল শুরু হয়। সঙ্গে চাকরিহারাদের সার্বিক একটা সমাধানের পথ খুঁজতে প্রস্তাব দেওয়া হয় কক্ষে। স্পিকার বারবার বারণ করার পরেও তিনি শোনেননি। যে কারণে তাঁকে সাসপেন্ড করে দেন স্পিকার। মার্শাল দিয়ে তাঁকে হাউস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। চলতি অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড থাকবেন তিনি। শঙ্কর ঘোষকেও সাসপেন্ড করে দেন অধ্যক্ষ। এরপরই প্রতিবাদে ওয়াকআউট করে বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির বিধায়করা।
