ধুবড়িতে সাম্প্রদায়িক হিংসা: দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী
আসামের ধুবড়ি জেলা বর্তমানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আগুনে জ্বলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
ধুবড়ি জেলায় সাম্প্রদায়িক শান্তি ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার চেষ্টাকারীদের দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এই ঝামেলার সুত্রপাত হয়েছে, গত সপ্তাহে বকরি ঈদের পরের দিন থেকে। শুক্রবার ধুবড়ি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ধুবড়ি জেলায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি যাঁরা উস্কে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি। প্রয়োজনে, শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য পুলিশ রাতে দুর্বৃত্তদের দেখামাত্রই গুলি করতে পারবে। গত সপ্তাহ থেকে ধুবড়িতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভীতিকর পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। বকরি ঈদের পরের দিন, কিছু লোক হনুমান মন্দিরের সামনে একটি কাটা গরুর মাথা রেখেছিলেন। এরপরেই হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের লোকেরা দেখা করে এবং শান্তি কমিটিও আলোচনা করে। মনে করা হয়েছিল এই আলোচনায় বিষয়টি সমাধান হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরের দিন, মন্দির প্রাঙ্গণে আরেকটি গরুর মাথা পাওয়া যায়। তারপরেই পাথর ছোঁড়াছুঁড়ির ঘটনাও ঘটে। তাছাড়া, ধুবড়িতে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে পোস্টার লাগানো হয়েছিল। একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী অশান্তি ছড়ানোর জন্যে এখানেই এই ধরনের বিরোধীমূলক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করেছি।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শুক্রবার ধুবড়িতে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং সিআরপিএফ-কেও পাঠানো হয়েছিল। অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।