চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো এবং আরও দুই ডাক্তারের বদলি সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে কঠোর প্রশ্ন তুলেছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালত জানতে চেয়েছে, চিকিৎসকদের পোস্টিং কি মেধার ভিত্তিতে হচ্ছে নাকি কোনো ইচ্ছামাফিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে? আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে যে অনিকেতকে নতুন পোস্টিং নিতে বাধ্য করা হবে না এবং রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না। অনিকেত মাহাতো এবং অন্য দুই চিকিৎসক দেবাশিস হালদার ও আশফাকুল্লাহ নাইয়াকে তাঁদের প্রাথমিক পোস্টিং থেকে বদলি করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে মামলা করেন, অভিযোগ করেন যে এই বদলি কাউন্সেলিং নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। সোমবার অনিকেত মাহাতোর মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। অনিকেত মাহাতোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে হলফনামা আকারে রিপোর্ট দেবে রাজ্য। বাকি দুই চিকিৎসক, দেবাশিস হালদার ও আসফাকুল্লা নাইয়ার মামলাতেও আগামী সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে। এ দিন এমনই নির্দেশ দিল কোর্ট। আদালত রাজ্যের কাছে এই পোস্টিংগুলির পেছনের যুক্তি ব্যাখ্যা করে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অনিকেত দাবি করেছেন যে তাঁর ভালো র্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও, তাঁর চেয়ে কম র্যাঙ্কের ডাক্তারদের শূন্য পদগুলিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই বিষয়ে আদালত রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং জানতে চেয়েছে যে এটি মেধা-ভিত্তিক ছিল নাকি পছন্দের ভিত্তিতে। এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যের জবাবের দিকে সকলের নজর থাকবে।