ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি) সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক কৃতি ছাত্রছাত্রী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। দেশের এই গর্বের মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই কৃতী ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিশেষ করে, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের (আইআইএসসি) চার মেধাবী পড়ুয়া – সুষ্মিত রায়, সিমর নারুলা, অভীক দাস এবং ঋতব্রত ঘোষ – এই প্রতিযোগিতায় অসাধারণ ফল করে রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তাদের এই সাফল্য রাজ্যের তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান চর্চায় আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় রাজ্য থেকে অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের মেধার প্রমাণ রেখে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাকে সম্মানিত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বাংলার ছেলেমেয়েরা যে সাহস ও মেধা দেখিয়েছে, তার জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ভবিষ্যতে আরও অনেক ছেলেমেয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে এবং সফল হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।" প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবারের ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিজিক্স অলিম্পিয়াড ২০২৩’-এ বাংলা থেকে নির্বাচিত চব্বিশজন দলগত ভাবে অংশগ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে পদার্থবিজ্ঞানে আগ্রহীদের মধ্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা। একইসঙ্গে, বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ করে দেওয়াও এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। এই প্রতিযোগিতায় মূলত মৌলিক পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যেমন কোয়ান্টাম মেকানিক্স, থার্মোডাইনামিক্স, ইলেকট্রোম্যাগনেটিজম, এবং নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের উপর প্রশ্ন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছেন। সফল অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান এবং দেশের জন্য সম্মান অর্জন করেছেন। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই প্রতিযোগিতায় আমাদের রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যে মেধা ও পরিশ্রম দেখিয়েছে, তাতে আমি অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের সরকার সর্বদা শিক্ষা ও গবেষণার প্রসারে সচেষ্ট। আমরা রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য সবরকম সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" তিনি আরও জানান, "আমরা চাই বাংলার ছেলেমেয়েরা শুধু এই দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করুক। রাজ্যের শিক্ষার মানোন্নয়নে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।" ভবিষ্যতেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গবেষণাকে উৎসাহিত করতে বদ্ধপরিকর। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, "আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে চাই যেখানে তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে এবং দেশের উন্নয়নের অংশীদার হতে পারবে।" রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরাও এই সাফল্যের জন্য কৃতী ছাত্রছাত্রী, তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই সাফল্য নিঃসন্দেহে রাজ্যের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।