গগনভেদী ধ্বনিতে খোল-করতাল বাজাতে বাজাতে মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে সুদর্শন চক্র, বলরাম, সুভদ্রা, জগন্নাথ ও মদনমোহনকে নিয়ে আসা হয় স্নানমণ্ডপে। গজবেশ ও পদ্মবেশে সাজানো হয় বিগ্রহদের। পবিত্র স্নানযাত্রার জন্য ১০৮টি তীর্থক্ষেত্র থেকে আনা হয় কলসভর্তি জল, যাতে মেশানো হয় তুলসীপাতা, আতর, চন্দন, কর্পূর ও কাঁচা দুধ। একে একে ঢালা হয় ১০৮ কলস জল, ১০০ লিটার দুধ এবং অন্যান্য উপকরণ। স্নানের আগে সিল্কের চাদরে ঢেকে দেওয়া হয় বিগ্রহদের। সম্পন্ন হয় তুলসীদান। ইসকনের ১০০ জন সাধু এদিন নামগানে মাতোয়ারা হন স্নানমণ্ডপের সামনে।
এই পবিত্র অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে আগেই পৌঁছে যায় গাছপাকা আম, কাঁঠাল ও নানা ধরনের মিষ্টান্ন। স্নানযাত্রার পরে ৫৬ ভোগ নিবেদনের সময় মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো ফল-মিষ্টি বিশেষভাবে অর্পিত হয় জগন্নাথদেবকে। পোশাকও বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে এবার। ইসকনের এক ভক্ত নিজ হাতে তৈরি করেছেন সিল্কের নবরূপ বসন, যা পরে পরানো হয় বিগ্রহদের।
সকাল থেকে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। লোকবিশ্বাস, এই স্নানযাত্রা দর্শনে পুণ্যলাভ হয়। তাই দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন বহু মানুষ। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি ও হিডকোর ভাইস চেয়ারম্যান হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তাঁরাও শঙ্খ বাজিয়ে অংশ নেন স্নানযাত্রায়। বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত জগন্নাথদেব থাকবেন গজবেশে দর্শনার্থীদের সামনে। এরপর শুরু হবে ‘অনশর’ পর্যায়। দীর্ঘ ১৫ দিন সুস্থ থাকার পর ২৬ জুন জগন্নাথদেব আবার মন্দির চত্বরে আসবেন রথের দিন।