অধিবেশনের সভাপতি তথা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের প্রস্তাব মেনে এক অভিনব উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেন, বিধানসভা ভবনেই স্থাপন করা হবে অভিযোগ গ্রহণের জন্য একটি ‘ড্রপবক্স’।
প্রায়ই বর্ষাকালে রাস্তার অবস্থার খারাপ হওয়ার কথা উঠে আসে বিধায়কদের বক্তব্যে। সেসময় অনেকেই মাইকে তুলে ধরার সুযোগ না পেয়ে বাইরে চলে যান। সেই অসুবিধা দূর করতে অধ্যক্ষ সাংবাদিক জানান, “এত মানুষ হাত তুলছেন রাস্তা নিয়ে প্রশ্ন করার জন্য … বর্ষায় রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে। কোথায় কোথায় রাস্তা খারাপ তা জানানোর জন্য বিধানসভায় একটা ড্রপবক্স রাখার জন্য মন্ত্রীকে বলছি।”
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে কর্মদলের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বিশেষ করে গ্রামের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত করছে—এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের কর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ড্রপবক্সে জমা পড়া প্রতিটি অভিযোগ দুই দিনেই খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় অনুরোধ জানান, বৃহস্পতিবার থেকেই বিধানসভার ভিতরে তা কার্যকর করা হবে।
এক বছর আগেও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর পানীয় জলের সংযোগ পরিপূরক তত্ত্বাবধানের জন্য বিধানসভায় একই রকম ড্রপবক্স স্থাপন করেছিল—রাস্তায় সেই উদ্যোগের অভিজ্ঞতা থেকেই এবার নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এই ড্রপবক্স স্থাপনের মাধ্যমে সাধারণ বাসিন্দা থেকে বিধায়ক পর্যন্ত কেউই রাস্তাঘাটের বেহাল দশা সহজেই জানাতে পারবেন—সরকারের উদ্দেশ্য দ্রুত সমস্যা শনাক্ত করে দ্রুত সমাধান প্রদান করা।