কেন্দ্রের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত স্মার্ট মিটার, রাজ্যের নাকচে স্বস্তি সাধারণের
রাজ্য সরকার স্মার্ট মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে। বুধবার বিধানসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, গৃহস্থ বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো হবে না। ইতিমধ্যে যেসব বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে, সেগুলো সাধারণ পোস্টপেইড মিটার হিসেবেই গণ্য হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, স্মার্ট মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যের নিজস্ব ছিল না; এটি কেন্দ্র সরকারের নির্দেশে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবহারকারীদের অসুবিধা, অতিরিক্ত বিল এবং প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সরকার এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেছে।
এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে অরূপ বিশ্বাস বলেন, “স্মার্ট মিটার বসানোর নাম করে রাজনীতির চেষ্টা করছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের সাধারণ মানুষকে জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না। তাই স্মার্ট মিটার বসানো বন্ধ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী জানান, এখন থেকে তিন মাস অন্তর পোস্টপেইড বিল দেওয়ার আগের ব্যবস্থাই বহাল থাকবে। স্মার্ট মিটার হলেও প্রিপেড হিসেবে তা কাজ করবে না। এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের সমস্ত গ্রাহকের জন্যই প্রযোজ্য হবে।
উল্লেখ্য, স্মার্ট মিটার বসানোর পর বেশ কিছু এলাকায় গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যেমন, হুগলি জেলার ব্যান্ডেল এলাকায় এক গ্রাহকের বিল ₹১২,০০০ হয়ে যায়, যা পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি। এই ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এদিকে, বিরোধী দলগুলি স্মার্ট মিটার বসানোর সিদ্ধান্তকে কেন্দ্রীয় সরকারের চাপ হিসেবে উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। তারা দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপাচ্ছে।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও, স্মার্ট মিটার প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে আলোচনা এখনও চলমান।