আজ বিধানসভায় তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, আপাতত গ্রাহকদের বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ সম্পূর্ণরূপে স্থগিত রাখা হচ্ছে। যে সমস্ত গ্রাহকের বাড়িতে ইতিমধ্যেই স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে, সেগুলির বিল পুরোনো পদ্ধতিতেই আসবে, কোনো প্রিপেইড বিলিং হবে না। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্মার্ট মিটার বসানোকে কেন্দ্র করে গ্রাহকদের মধ্যে প্রবল অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। বহু গ্রাহকের অভিযোগ ছিল যে, স্মার্ট মিটার লাগানোর পর তাদের বিদ্যুতের বিল অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। কোথাও বিল দ্বিগুণ বা তিনগুণ হওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এই নিয়ে হুগলি, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, দুই ২৪ পরগনাসহ একাধিক জেলায় বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আজ বিধানসভায় জানান, স্মার্ট মিটার প্রকল্পটি কেন্দ্রের চাপানো একটি বিষয়। তিনি কেন্দ্রের স্মার্ট মিটার সংক্রান্ত গেজেট নোটিফিকেশনও বিধানসভায় তুলে ধরেন। গ্রাহকদের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। বিদ্যুৎ দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে যে, আপাতত শুধুমাত্র সরকারি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেই স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ চলবে। সাধারণ গ্রাহকদের বাড়িতে নতুন করে কোনো স্মার্ট মিটার লাগানো হবে না। পাশাপাশি, যাদের বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে, সেগুলিকে যেদিন লাগানো হয়েছে তার তিন মাস পর থেকে সাধারণ মিটার হিসাবে গণ্য করা হবে এবং বিল প্রি-পেইড মোডে নয়, পোস্ট-পেইড মোডেই আসবে। এই ঘোষণায় রাজ্যের লক্ষ লক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহক স্বস্তি পেয়েছেন। তবে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ এবং এই সিদ্ধান্তের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ওয়াকিবহাল মহলে।