পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় স্পষ্ট ঘোষণা করেন (অন্য অনগ্রসর শ্রেণি)-এর অন্তর্ভুক্তির একমাত্র ভিত্তি হলো সামাজিক ও অর্থনৈতিক অনগ্রসর, ধর্ম নয় ।
পটভূমি হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, “সামাজিক অগ্রজ্ঞান মেটাতে কোনো গোষ্ঠীকে ধর্মের ভিত্তিতে নির্বাচিত করা হচ্ছে না”, আর একটি সামাজিক মাধ্যম ও বিরোধীদল থেকে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর তথ্য “অবিশ্বাস্য” হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেন ।
মন্ত্রী আরও জানালেন, ইতিমধ্যে OBC‑A বিভাগে ৪৯টি ও OBC‑B বিভাগে ৯১টি উপ‑সেকশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ৫০টি নতুন উপ‑সেকশনের জরিপ প্রক্রিয়া চলমান। তিনি বলেন, “OBC‑A-তে তুলনামূলকভাবে অধিক পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী রয়েছে, B-তালিকায় অপেক্ষাকৃত উন্নত জনগোষ্ঠী” ।
এই কাজে পশ্চিমবঙ্গ পশ্চাদপদ শ্রেণি কমিশনের ২০২৪–২৫ অর্থ বছরের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় । কমিশনের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা ও বিস্তারিত মাঠ জরিপের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।
গত বছর কোলকাতা হাইকোর্টের একটি নির্দেশে বহু OBC সনদ বাতিল হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা বিভ্রান্তির সম্মুখীন হন। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে, এবং আপাতত মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে ।
এই আপত্তির প্রেক্ষিতে, রাজ্য মন্ত্রিসভার ২ জুন ৬৬টি আদ্যতন গোষ্ঠীর তালিকা ৬৪-এ হ্রাস করে ও ৭৬টি নতুন গোষ্ঠী সংযোজন করে একটি সংশোধিত OBC তালিকা অনুমোদন করে ।
বিধানসভায় এই প্রস্তাব উপস্থাপনের সময় রাজ্য বিজেপি বিধায়কেরা, বিশেষত বিরোধীদলের নেতা সুবেন্দু অধিকারী, সিঙ্গল ওয়ারেন্টিতে বক্তব্যের সুযোগ না পেয়ায় মঞ্চ ত্যাগ করেন। তারা বলেন, “বিনা এজেন্ডা ও কোনও আগাম অর্থ না দিয়ে বিল পাশের পূর্বে তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) তথ্যবহুল বক্তব্য দিয়েছেন… ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি করছেন” ।
শুভেন্দু আদিকারী মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর; এবং “হিন্দু জনগোষ্ঠীর সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে” বলে দাবি করেন।