এদিন রাজ্যকে করেন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘সেই অঙ্কটা কীসের ভিত্তিতে নির্ধারিত করলেন?’ যারা এই টাকা পাবেন তাদের থেকে রাজ্য প্রতিদানে কী পাবে? এই প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, ‘তাঁরা ঘরে বসে থাকবেন আর টাকা পাবেন? সুপ্রিম কোর্টে একটার পর একটা রিভিউ পিটিশন হতে থাকবে আর এরা টাকা পেতে থাকবেন?’
সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় নতুন করে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন। সোমবার প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে মামলার শুনানি শেষ হয়। রায়দান স্থগিত রয়েছে। এদিন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, “এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে সাধারণ মানুষের টাকায় সরকার দুর্নীতিকে সাহায্য করছে। অবিলম্বে এই প্রকল্পের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হোক।”
বিচারপতি আরও প্রশ্ন করেন, ‘কত সংখ্যক শিক্ষাকর্মী এই টাকা পাবেন? অতীতে কোন কোন ঘটনায় এরকম আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছিল?’ রাজ্য জানায় একাধিকবার এমন ভাতা দেওয়া হয়েছে, যেমন পূজার সময় বা অন্যান্য ঘটনায়। বিশেষ খাত থেকে এই টাকা বরাদ্দ করা হয় বলেও জানিয়েছে রাজ্য। ‘এত সংখ্যক ব্যক্তি ঘরে বসে বসে সাধারণ মানুষের টাকা পাবেন? বেকারদের জন্য কি রাজ্য এই ধরনের কোনও প্রকল্প চালু করেছে বা চালু করার কথা ভাবছে?’ রাজ্যকে এই প্রশ্নও করলেন বিচারপতি।