পশ্চিমবঙ্গে বিএসএফের বড় সাফল্য: বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রা ও চোরাচালান সামগ্রী বাজেয়াপ্ত
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান রুখতে আবারও বড় সাফল্য পেল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রা এবং অন্যান্য চোরাচালান সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিএসএফের এই তৎপরতায় চোরাকারবারীদের কোমর ভেঙেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফ জওয়ানরা রাজ্যের একাধিক পয়েন্টে অভিযান চালান। এই অভিযানে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে লক্ষাধিক বাংলাদেশি টাকা, যা ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য, ফেন্সিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট, সোনা এবং গবাদি পশুর মতো চোরাচালানের জন্য ব্যবহৃত সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে। বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, চোরাচালানকারীরা রাতের অন্ধকারে এবং ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে এই অবৈধ কার্যকলাপ চালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু বিএসএফ জওয়ানদের কড়া নজরদারি এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে তাদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে চোরাকারবারীরা বিএসএফের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, তাদের ফেলে যাওয়া সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু ঘটনায় চোরাকারবারীদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান দমনে বিএসএফ জওয়ানরা দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, সীমান্তে কোনো ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। একইসাথে, সীমান্তবাসীদের কাছেও যেকোনো চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য বিএসএফের হেল্পলাইন নম্বরে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য তথ্যের জন্য পুরষ্কার এবং পরিচয় গোপন রাখার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় প্রমাণিত হলো যে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিএসএফ সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় চোরাচালানকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে, যা দেশের নিরাপত্তা এবং অর্থনীতি উভয়ের জন্যই ইতিবাচক।