মুখ্য সমাচার :
দিঘায় পর্যটকদের নিরাপত্তায় কড়া নজরদারি, হোটেলগুলোর বাইরে বসানো হবে তথ্য বোর্ড সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী মোদী: বন্ধুত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচন লখনউ বিমানবন্দরে ফের হজ ফ্লাইটে জরুরি অবতরণ, ধোঁয়া আর চাকা থেকে শিখা, নিরাপদ ২৫০ হজযাত্রী দক্ষিণবঙ্গে কি অবশেষে স্বস্তির বারিধারা? বর্ষা প্রবেশের দিনক্ষণ জানাল আবহাওয়া দফতর ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: তেহরানে বিদেশমন্ত্রকে হামলা, নিহত ২৩০

জুলাইয়ে কি বকেয়া ডিএ ঢুকছে কর্মীদের অ্যাকাউন্টে? নবান্নের নতুন তালিকা

রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তৎপরতা বেড়েছে নবান্নে।
Pressman
06 June, 2025
শীর্ষ আদালত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তিন মাসের মধ্যে ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশের পর রাজ্য সরকার ডিএ প্রাপকদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। আগামী ২৭ জুনের মধ্যে বকেয়া ডিএ-এর ২৫ শতাংশ মেটাবে। এই নির্দেশ কার্যকর করতেই প্রযুক্তির সাহায্যে কর্মচারী পিছু হিসাব কষতে চলেছে নবান্ন। সরকারি কর্মীদের ১৪১ মাসের বকেয়া মেটাবে নবান্ন। 
নবান্ন রাজ্যের সমস্ত দফতরের কাছে ডিএ প্রাপক কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের তালিকা চেয়েছে। জানা গেছে, এই তালিকায় প্রায় ১০ লক্ষ কর্মী অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। অর্থ দফতর নবান্নকে জানিয়েছে যে প্রায় ৩.৮০ লক্ষ স্কুল শিক্ষক এখনও তাঁদের বকেয়া ডিএ পাননি।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার ১ এপ্রিল, ২০২৫ থেকে ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছে, যার ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মোট ডিএ দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশ। তবে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ৫৫ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন, যা রাজ্য ও কেন্দ্রের ডিএ-র মধ্যে ৩৭ শতাংশের একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবধান তৈরি করেছে। এই ব্যবধান নিয়ে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য জুলাই মাসে আরও ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা তাদের মোট ডিএ ৫৮ শতাংশে উন্নীত করতে পারে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বকেয়া ডিএ পরিশোধের জন্য একটি নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে, যেখানে কর্মীদের ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তাঁদের কার্যকালের মেয়াদ সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে।
যদিও সুপ্রিম কোর্ট তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, জুলাই মাসে প্রত্যেক কর্মীর অ্যাকাউন্টে ঠিক কত টাকা ঢুকবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা এখনো আসেনি। নবান্ন তালিকা তৈরির কাজ শেষ করার পর এবং নতুন পদ্ধতি কার্যকর হলে এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
Follow Us ই-পেপার