জানা গেছে, এই নতুন মিটার স্থাপন নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে এবং তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ এখন প্রশ্নের মুখে। গ্রাহকদের প্রধান অভিযোগগুলি হল, স্মার্ট মিটার বসানোর ফলে বিদ্যুতের বিল অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক গ্রাহক দাবি করছেন যে তাদের পূর্বের বিলের তুলনায় বর্তমান বিল দ্বিগুণ বা তিনগুণ হয়ে গেছে, যা তাদের মাসিক বাজেটকে প্রভাবিত করছে। এছাড়া, মিটার রিডিংয়ে স্বচ্ছতার অভাব এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেও গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। কিছু গ্রাহক জানিয়েছেন যে মিটার বসানোর পর থেকে বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে।nnযদিও রাজ্য সরকার স্মার্ট মিটার বসানোর মূল উদ্দেশ্য হিসেবে বিদ্যুৎ অপচয় রোধ, বিলিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা এবং উন্নত গ্রাহক পরিষেবা প্রদানের কথা বলেছিল, তবে বর্তমান পরিস্থিতি সরকারের এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে যে এই নতুন মিটারগুলি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং এতে গ্রাহকদের বিলিং সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সহজেই ট্র্যাক করা সম্ভব। তবে গ্রাহকরা এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এবং তারা অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান চেয়েছেন। বিভিন্ন গ্রাহক সংগঠন এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও স্মার্ট মিটার বসানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তাদের দাবি, গ্রাহকদের উপর অন্যায়ভাবে আর্থিক বোঝা চাপানো হচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ নয়। তারা সরকারের কাছে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার এবং গ্রাহকদের অভিযোগগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে গ্রাহকদের অভিযোগগুলি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে, এই বিতর্কের জেরে রাজ্যে স্মার্ট মিটার বসানোর প্রক্রিয়া আপাতত ধীর গতিতে চলছে এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।"