২৬ হাজার এসএসসি নিয়োগ বাতিলের পর এবার ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগে নতুন মোড়
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের চাকরি বাতিলের পর রাজ্য জুড়ে যখন তোলপাড় চলছে, ঠিক তখনই ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একটি বড় খবর সামনে এসেছে।
আদালতের এই ঐতিহাসিক রায়ের রেশ কাটতে না কাটতেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সংক্রান্ত নতুন তথ্যে রাজ্যবাসীর নজর এখন সেদিকে। এই আবহে, ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে খবর, এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও কিছু বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, যদিও এর মাত্রা এসএসসির মতো ব্যাপক নয়। তবে, আদালতের সাম্প্রতিক কড়া মনোভাবের কারণে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও এখন অনেক বেশি সতর্ক। পর্ষদ সূত্রে খবর, ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং সম্ভাব্য আইনি জটিলতা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কোনো রকম ত্রুটি থাকলে তা দ্রুত সংশোধনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এসএসসি-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের ঘটনা রাজ্য সরকারের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। বিরোধীরা এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে সরকারের উপর বাড়তি নজর থাকবে, যাতে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত হয় এবং কোনো নতুন বিতর্ক সৃষ্টি না হয়। বাংলার বেকার যুবক-যুবতীরা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার দিকে, আশা করছে এবার স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ হবে।