শিক্ষার স্বপ্ন পুড়ে ছাই, রিকশাচালকের মেয়ের প্রথম বিমানযাত্রাই শেষ যাত্রা
রিকশাচালক বাবার অক্লান্ত পরিশ্রম আর ত্যাগের বিনিময়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছিলেন এক তরুণী। কিন্তু সেই স্বপ্ন ডানা মেলার আগেই নিভে গেল মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায়।
প্রথমবার বিমানে চড়ে বিলেত পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সওয়ার হয়েছিলেন তিনি, কিন্তু সেই বিমান আর গন্তব্যে পৌঁছায়নি। অগ্নিদগ্ধ হয়ে শেষ হয়ে গেল তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সকল স্বপ্ন।
৯ ঘণ্টার সফর শেষে সেই স্বপ্নপূরণের দেশে পৌঁছেও যেতেন পায়েল খটিক। খটিক পরিবারের আসল বাড়ি রাজস্থানে। তবে কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা গুজরাটের হিম্মতনগরে বাস করতে শুরু করেন। জানা গিয়েছে, পায়েলের বাবা সুরেশভাই খটিক রিকশা চালিয়ে মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। এদিকে পড়াশোনার পর একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত ছিলেন পায়েল। সেই কোম্পানি থেকেই পড়াশোনার জন্য তাঁকে লন্ডনে পাঠানো হচ্ছিল। নিজের স্বপ্নকে প্রথমবারের মতো বিমানে চেপেছিলেন রিকশা চালকের মেয়ে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে প্রথমবারের বিমানযাত্রায় তাঁর শেষবারের বিমানযাত্রা হয়ে গেল।
এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় পরিবারটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। তাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন এক নিমেষে ছাই হয়ে গেল।