সরকারি হাসপাতালে টয়লেটেই নবজাতকের দেহ ফেলে পালালেন মা; হাজারো উদ্বেগের মাঝে শিকার কুকুর
মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌরের এমহো–সরকারি হাসপাতালে শনিবার প্রভাতে এক বিপজ্জনক ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। রাতের অন্ধকারে এক ১৭ বছর বয়সী কিশোরী টয়লেটে গিয়ে গোপনে সন্তান ভূমিষ্ঠ করেন বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন । সন্তানটি সম্ভবত অবিকাশে এখনও মৃত ছিল।
সকালের দিকে এক নিরাপত্তারক্ষী টয়লেটের আশেপাশে এক ফেলে দেওয়া দেহ দেখতে পান, যা এক প্রকার মাংশভক্ষির কাছে পড়ে রয়েছে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায় আক্রমণে দেহের একটি অংশ মাংসাশী কুকুর ছিঁড়ে নিয়েছে । নিরাপত্তারক্ষী দ্রুত একটি আক্রান্ত কুকুরকে বিতাড়িত করে নবজাতকের দেহ উদ্ধার করেন।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি রাত ১:৩০–২:০০টার মধ্যে ঘটে । ওই কিশোরী রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে দায়িত্ ও কোলিকের অভিযোগ করে ভর্তি হন এবং পরবর্তীতে টয়লেটে গেছেন। শিশুকে ডেলিভারি করেই তিনি এবং এক অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তি দৃষ্টান্তবিহীনভাবে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান ।
ডা. এইচ. আর. ভার্মা, এমহো সিভিল হাসপাতালের ইঞ্চার্জ, জানিয়েছেন, “প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে নবজাতক প্রিম্যাচিউর অবস্থায় ছিল; পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট এখনও অপেক্ষারত। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও রাতের সময় হাসপাতালের তিনটি গেট খোলা রাখা হতো; ময়লা–ঝুঁকি ও কুকুরের প্রবেশ এখানেই ঘটেছে।”
স্থানীয় পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় একটি যৌথ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও প্রশাসন নবজাতক ও মায়ের পরিচয় সনাক্তে কাজ করছে; পাশাপাশি দৈনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুনর্বিবেচনাও চালু হয়েছে।
এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে হাসপাতালের গেটগুলো রাতের বেলায় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কুকুর প্রবেশ রোধমূলক ব্যবস্থা দ্রুত কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।