নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে বা বাড়ির ছাদেও পশু বলি দেওয়া যাবে না। সরকারের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দিল্লি সরকারের প্রাণী কল্যাণ দফতর এই নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, ঈদুল আযহা বা বকরি ঈদে পশু বলি দেওয়া যাবে না। তবে, এর পরিবর্তে প্রতীকী বলিদান বা অন্য কোনও উপায়ে ধর্মীয় আচার পালনের কথা বলা হয়েছে। এই নির্দেশিকাটি সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী একটি রায়ের উপর ভিত্তি করে জারি করা হয়েছে, যেখানে জনসমক্ষে পশু বলি এবং পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সরকারের যুক্তি, জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এবং পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধ করার জন্য এই পদক্ষেপ জরুরি। যদিও মুসলিম সংগঠনের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করা হয়েছে। তাদের দাবি, এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ। তবে, অনেকে আবার সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, যারা মনে করেন যে, শহরে পশু বলি পরিবেশ দূষণ এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ। নির্দেশিকা জারির পর থেকেই দিল্লিজুড়ে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে যাতে এই নির্দেশিকা যথাযথভাবে পালন করা হয়। আগামী দিনে এই নির্দেশিকা নিয়ে আরও বিতর্ক দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।