ফের অশান্তির ছায়া দক্ষিণ শহরতলির মহেশতলায়। দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বচসা চলছিল বহুদিন ধরে। বুধবার সেই বিবাদ চরমে ওঠে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। উত্তেজিত জনতা একের পর এক বাইক ভাঙচুর করে এবং একটি পুলিশ ভ্যানেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
কলকাতা: প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, স্থানীয় এক যুবক রাস্তার ধারে একটি অস্থায়ী দোকান বসানোর চেষ্টা করছিলেন। অভিযোগ, তাতে আপত্তি তোলেন পাশের আরেক দোকানদার। শুরু হয় কথা কাটাকাটি, যা ধীরে ধীরে হাতাহাতি এবং পরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে পরিণত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে, একদল উত্তেজিত ব্যক্তি পুলিশের একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর একে একে আরও দুই বাইক ও একটি ছোটো গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে একাধিক পুলিশ কর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীও জখম হয়েছেন। সবমিলিয়ে আহতের সংখ্যা ১৮।
ঘটনার জেরে পুরো মহেশতলা জুড়ে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। রাত পর্যন্ত এলাকায় টহল দিয়েছে RAF ও লালবাজারের বিশেষ টিম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ধৃত হয়েছে অন্তত ৭ জন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশের ওপর আক্রমণ এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ধরণের ঘটনা আর বরদাস্ত করা হবে না। যারা এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনও গোটা এলাকা থমথমে।
স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যবসায়িক সমস্যা মেটাতে শীঘ্রই একটি বৈঠক ডাকা হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলবে।