তবে, এই ট্রেনগুলির প্রান্তিক স্টেশন দমদম ক্যান্টনমেন্ট হওয়ায় নিত্যযাত্রীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, দুটি ট্রেন সকালে এবং তিনটি ট্রেন সন্ধ্যায় চলাচল করবে। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বারাসাত থেকে একটি ট্রেন ছেড়ে দমদম ক্যান্টনমেন্টে ৯টা ১৬ মিনিটে পৌঁছাবে। এটি আবার ৯টা ৪৫ মিনিটে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বারাসাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে এবং ১০টা ১২ মিনিটে পৌঁছাবে। সন্ধ্যায়, বারাসাত থেকে বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে একটি ট্রেন ছেড়ে ৬টা ০৩ মিনিটে ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছাবে। এরপর সন্ধ্যা ৬টা ২৬ মিনিটে একটি ক্যান্টনমেন্ট-বনগাঁ স্পেশাল লোকাল ট্রেন বনগাঁর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে এবং রাত ৮টা ০৮ মিনিটে পৌঁছাবে। শেষ নতুন পরিষেবাটি রাত ৮টা ২০ মিনিটে বনগাঁ থেকে বারাসাতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে রাত ৯টা ২৬ মিনিটে পৌঁছাবে। যাত্রীদের অভিযোগ, এই ট্রেনগুলি দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে শুরু হওয়ায় বা সেখানে শেষ হওয়ায় অনেক যাত্রীকেই অতিরিক্ত ট্রেন ধরে দমদম জংশন, বিধাননগর বা শিয়ালদহ যেতে হবে, যা তাদের জন্য অসুবিধাজনক। তাদের মতে, ট্রেনগুলি যদি দমদম জংশন পর্যন্ত যেত, তবে ভিড় নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি কার্যকর হতো। কিছু যাত্রী গত বছরের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেছেন, যখন কাজের জন্য অনেক ট্রেন ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত যাচ্ছিল, তখন পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়েছিল। তবে, অন্য একটি অংশের মতে, দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে মেট্রো চালু হলে এই সিদ্ধান্ত সুবিধাজনক হতে পারে, কারণ যারা বিধাননগর নেমে সেক্টর ফাইভ বা ওই দিকে যান, তারা সরাসরি ক্যান্টনমেন্ট নামতে পারবেন। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ভিড় পর্যালোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং দমদম ক্যান্টনমেন্ট এখন শহরের বাইরে নয়, বরং সুসংযুক্ত।