পর্ন-কাণ্ডে ফাঁসে ত্রিমূর্তি! গ্রেফতার মা–ছেলে–মেয়ে, পুলিশ জানাল চাঞ্চল্যকর তথ্য
পর্ন-কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ল এক পরিবার। স্টাইলিশ ভিডিও তৈরির নাম করে একাধিক পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট বানানোর অভিযোগ উঠেছে মা, ছেলে ও মেয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরিয়ান খান, তার মা সাবালিকা খান এবং বোন আরশিয়া খানকে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত আরিয়ান ও আরশিয়া পেশায় মডেলিং করতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা বাড়াতে বিভিন্ন ফ্যাশন ভিডিও বানানোর কথা বলে একাধিক আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করেন তাঁরা। অভিযোগ, এই ভিডিওগুলি বিভিন্ন বিদেশি ওয়েবসাইটে বিক্রি করা হত মোটা টাকার বিনিময়ে। তদন্তে উঠে এসেছে এই ব্যবসার অন্যতম মাথা ছিলেন তাদের মা সাবালিকা খান।
একাধিক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার এক অভিজাত আবাসনে বসেই চলত এই চক্রের কাজকর্ম। অত্যাধুনিক ক্যামেরা ও স্টুডিও লাইটের সাহায্যে শুট করা হত ভিডিও। ভিডিও সম্পাদনা, আপলোড থেকে শুরু করে পেমেন্ট সংগ্রহ—সবকিছুর দেখভাল করতেন সাবালিকা নিজে।
ঘটনার সূত্রপাত একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযোগকারী জানান, একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে নিজের পরিচিত মেয়ের ছবি দেখে তিনি অবাক হয়ে যান। পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত শুরু হয়। সাইবার ক্রাইম শাখা নজরদারি চালিয়ে চিহ্নিত করে অপরাধীদের। এরপরেই এক জটিল পরিকল্পনার মাধ্যমে পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে চুক্তির ভিত্তিতে ভিডিও বানাতে প্রলুব্ধ করত। এসব ভিডিওর চিত্রনাট্য, অভিনয় ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকতেন আরিয়ান নিজে। তার মা ও বোন সরাসরি প্রযোজক হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একাধিক হার্ডডিস্ক, মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা, যাতে প্রচুর পরিমাণে আপত্তিকর ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে।
এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কখনোই ভাবতে পারেননি এত ভদ্র ও মার্জিত পরিবার এরকম কাণ্ড ঘটাতে পারে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে জোরকদমে। এই ঘটনার পেছনে আদৌ কোনো বড় আন্তর্জাতিক চক্র রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।