প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মাঝরাতে কিছু ব্যক্তি মুখ ঢেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সংসদের অফিসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। চেয়ার, টেবিল, আলমারি-সহ একাধিক আসবাবপত্র ভেঙে ফেলা হয়। ঘটনার পরই ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
ছাত্রদের একাংশের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। ছাত্র সংসদের ঘর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সেখানে এমন হামলা পরিকল্পিত বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। তবে ঘটনার পর এখনো পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানান, “ঘটনাটি নিন্দনীয়। আমরা তদন্ত করছি। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনায় ছাত্র মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক ছাত্র সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই। নিরাপত্তা জোরদার করার আশ্বাস দিলেও ছাত্রছাত্রীদের একাংশ বলছে, কেবল আশ্বাসে নয়, কার্যকর পদক্ষেপ চাই।
ঘটনার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন যাদবপুরের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা।