এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমানের ২৫০ জনেরও বেশি যাত্রী এবং ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সকালে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী উদ্ধারকাজ এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তিনি উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন। জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর বিমানটি আহমেদাবাদের একটি আবাসিক এলাকায়, বিশেষ করে একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ে। এর ফলে বিমানের আরোহী এবং ভূমিতে থাকা মানুষজন সহ ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিমানের বেশিরভাগ আরোহীই ছিলেন ভারতীয়, ব্রিটিশ, পর্তুগিজ এবং কানাডিয়ান নাগরিক। নিহতদের মধ্যে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি এবং ৫ জন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীও রয়েছেন। বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং একটি আবাসিক ভবনের উপর আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়, তবে প্রাথমিক তদন্তে ইঞ্জিন ফেইলিওর বা টেক-অফের সময় যান্ত্রিক ত্রুটির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ঘটনাকে "হৃদয়বিদারক" বলে বর্ণনা করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। টাটা গ্রুপ, এয়ার ইন্ডিয়ার মালিক, নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এই বিপর্যয় ভারতের বিমান চলাচলের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।