এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI 171 (বোয়িং ৭৮৭–৮ ড্রিমলাইনার) স্থানীয় সময় বিকেল ১:৩৯‑এ আমেদাবাদ থেকে গ্যাটউইকের উদ্দেশ্যে উড়ে টেকঅফের মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
আনুমানিক ৬২৫ ফুট উচ্চতায় এয়ারক্র্যাফ্টটি গতিপথ হারিয়ে পড়ে এবং বিএ জে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল ভবনে ধাক্কা মারে, এতে মৃত্যু হয় বিমানের ২৪১ জন যাত্রীর সাথে অন্তত ২৮ জন পড়ন্ত স্থানে, মোট হতাহত হয় ২৬৯ জন।
ভিডিও বিশ্লেষণ ও পাইলটদের মতামত অনুযায়ী, টেকঅফের পরেও ফ্ল্যাপযুক্ত ও ল্যান্ডিং গিয়ার খোলা থাকার ঘটনায় সমস্যা বুঝেছেন ক্যাপ্টেন। এক অভিজ্ঞ পাইলটের ভাষ্য, “ল্যান্ডিং গিয়ার তুলে না নেওয়ার পেছনে অর্থ হতে পারে, বিপদ অনুভব করে ক্যাপ্টেন করেকশন সম্ভব না ধরেই চাকা খোলা রেখেছিলেন” । ইঞ্জিন বা সিস্টেমে প্রাথমিক ত্রুটি ধরা পড়ার পর এই কৌশল অবলম্বন করা হতে পারে।
প্রথম দিকে ইঞ্জিন বা ফ্ল্যাপে ত্রুটি থাকার কারণে বিমান প্রয়োজনীয় তুলগতায় উঠতে পারেনি।
পাখিদের সংঘর্ষ‑এর কারণেও উভয় ইঞ্জিনে বিনাশকর ক্ষতি হতে পারে। আমেদাবাদের আশেপাশে মাংস-বাজার ও স্লটার হাউজ-এর কাছে পাখিদের বহুল উপস্থিতি থাকে, তবে ভিডিওতে সরাসরি পাখি দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, পরীক্ষামূলকভাবে ফ্ল্যাপ ও চাকা একসাথে খোলা থাকলে ঢালুতা ও তাগদার ক্ষতি রোধের মতো একটা সাময়িক সমাধান হিসেবে নেওয়া হতে পারে।
দুর্ঘটনার তদন্তে অংশ নিয়েছে ভারতীয় AAIB, DGCA, U.K.–এর AAIB, যুক্তরাষ্ট্রের NTSB ও Boeing। প্রথম ধাপে "ব্ল্যাক বক্স" উদ্ধার করা হয়েছে, যা দোষের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে মূল ভূমিকা রাখবে।
Tata Group–এর Air India দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও সমর্থন ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বিমর্ষ জ্ঞাপন করেছেন।
বিমানের টেকঅফের পরও ল্যান্ডিং গিয়ার ও ফ্ল্যাপ খোলা ছিল—ক্যাপ্টেন বিপদের পূর্বাভাস পেয়ে বল বাধার মতো কৌশল গ্রহণ করেছিলেন সম্ভবত।
ইঞ্জিনে সমস্যা (যেমন পাখি ধাক্কা) ও উত্তাপের সংমিশ্রণে বিমান ওঠার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। তদন্তকারীরা ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণ করে প্রকৃত কারণ নির্ধারণের চেষ্টা করছেন।