হাসপাতালে শুয়ে তিনি জানালেন সেই নারকীয় অভিজ্ঞতার কথা "তাকিয়ে দেখি চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেহ!" বছর ৪০-এর বিশ্বাস কুমার রমেশ জানিয়েছেন, তিনি ওই বিমানেই ছিলেন। বেঁচে গিয়েছেন বরাত জোরে। ওই বিমানে ছিলেন, তাঁর ভাইও।
আচমকাই ভেঙে পড়ে যাত্রীবোঝাই বিমানটি। চারিদিকে আগুন আর ধ্বংসস্তূপ। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মৃতদেহ ও বিমানের ধ্বংসাবশেষ। সেই বিভীষিকার মধ্যেই কোনওভাবে বেঁচে যান যুবকটি।
যুবকের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের টিকিটের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। বুকে, চোখে এবং শরীরের একাধিক জায়গায় তাঁর গভীর ক্ষত। সর্বভারতীয় ওই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ওই যুবক জানিয়েছেন, উড়ানের কয়েক সেকেণ্ড পরেই নাকি বিকট শব্দ শোনা যায়। তারপরেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। ওই বিমানে তাঁর ভাই ছিলেন বলেও জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে ওই যুবক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, জ্ঞান ফিরে তাকিয়ে দেখেন চারদিকে শুধু ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেহ, হাহাকার। সেখান থেকে দৌড়ে চলে যান তিনি। তিনি জানিয়েছেন প্রায় ২০ বছর ধরে লন্ডনেই রয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী পুত্র এখনও সেখানেই রয়েছেন। জ্ঞান ফিরে তিনি আর ভাইকে কোথাও খুঁজে পাননি বলেও জানিয়েছেন।