প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন, সুখের সংসারও চলছিল—এমনটাই মনে হচ্ছিল আশেপাশের সকলের। কিন্তু পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এলো এক শিউরে ওঠার মতো তথ্য। স্বামীর ‘খুনের ছক’ নাকি আগে থেকেই কষে রেখেছিলেন স্ত্রী সোনম নিজেই।
তদন্তে জানা গিয়েছে, সোনমের সঙ্গে আরেক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল স্বামী রাজীব। আর সেই কারণেই ছক কষা হয় তাকে সরিয়ে দেওয়ার। স্বামীর খাবারে বিষ মিশিয়ে তাকে খুন করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী দিল্লির একটি অভিজাত আবাসনে।
সূত্রের খবর, সোনম নিজেই পুলিশি জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। জানিয়েছে, স্বামীর আচরণ এবং পারিবারিক দায়িত্বে তার অরুচি তৈরি হচ্ছিল। পাশাপাশি তার অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এবং স্বামীর সন্দেহ এই খুনের মূল প্ররোচক হয়ে দাঁড়ায়।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “ঘটনাটি প্রথমে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং ফোরেনসিক প্রমাণে সামনে আসে অন্য ছবি। এরপর সোনমকে আটক করে জেরা করা হয় এবং সেখানেই সে সমস্ত কিছু স্বীকার করে নেয়।”
ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেই সঙ্গে তদন্তকারীরা রাজীবের পরিবার এবং সোনমের ঘনিষ্ঠদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। গোটা এলাকায় এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পরিবারের দাবি, সোনমের আচরণ বিয়ের পর থেকেই বদলে যেতে শুরু করে। বহুদিন ধরেই রাজীব মানসিক চাপে ছিলেন। কিন্তু এমন নিষ্ঠুর পরিণতি কারোরই কল্পনায় ছিল না।
বর্তমানে সোনম পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তার রিমান্ড বাড়ানো হয়েছে এবং আরও তথ্য উঠে আসার আশায় তদন্ত জারি রয়েছে।