জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডা যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে তাঁর আকস্মিক বিরতিকে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। বিশেষত, তুরস্ক এবং পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার পরিপ্রেক্ষিতে মোদীর এই পদক্ষেপ আঙ্কারার উপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, সাইপ্রাসের সঙ্গে তুরস্কের ঐতিহাসিক বৈরিতা রয়েছে। অন্যদিকে, তুরস্ক পাকিস্তানের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র। এমন পরিস্থিতিতে মোদীর সাইপ্রাস সফর কার্যত তুরস্ককে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার সমতুল। ভারত চায়, সাইপ্রাসের জমি অবৈধভাবে দখলের জন্য তুরস্কের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বজায় থাকুক। সাইপ্রাসের কৌশলগত অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দক্ষিণ-পূর্ব ভূমধ্যসাগর এবং পশ্চিম এশিয়ার উপর নজর রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। একসময় গ্রিস এবং রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা এই দ্বীপরাষ্ট্রটি ষোড়শ শতাব্দীতে অটোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। অতীতে, 'অপারেশন সিঁদুর'-এর সময় তুরস্ক পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে, যদিও ভারতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই আক্রমণ সফলভাবে প্রতিহত করে। এই প্রেক্ষাপটে, মোদীর সাইপ্রাস সফর শুধু তুরস্ককে একটি বার্তা দেওয়াই নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করছে।