এই উদ্বোধনের সঙ্গেই উপত্যকায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চলাচল শুরু হওয়ার পথ প্রশস্ত হলো, যা দেশের দ্রুততম ট্রেনগুলির একটি।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "এই সেতু শুধু একটি পরিকাঠামো প্রকল্প নয়, এটি ভারতের সংকল্প, দৃঢ়তা এবং প্রকৌশল দক্ষতার প্রতীক। 'অপারেশন উন্নয়ন' কাশ্মীরের জনগণের জন্য উন্নয়নের নতুন দ্বার খুলে দেবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।" তিনি আরও যোগ করেন যে, এই সেতু জম্মু ও কাশ্মীরকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সংযুক্ত করবে এবং পর্যটন ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে উৎসাহিত করবে।
চেনাব নদীর উপর নির্মিত এই সেতুটি নদীপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৯ মিটার (প্রায় ১১৭৮ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত, যা প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু। ১৩১৫ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং তীব্র বাতাস প্রতিরোধে সক্ষম। এই সেতু নির্মাণে প্রায় ৩০,০০০ মেট্রিক টন ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে এবং এর নির্মাণে বিভিন্ন জটিল ভূখণ্ডগত চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হয়েছে।
এই রেলসেতু উদ্বোধনের ফলে জম্মু ও কাশ্মীরকে সরাসরি ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলো। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্ক প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এই চেনাব সেতু। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সারা বছরের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত হবে।
কাশ্মীরে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। এটি পর্যটন এবং বাণিজ্যের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হলে দিল্লি থেকে শ্রীনগরের দূরত্ব অনেক কমে যাবে এবং যাত্রীদের জন্য আরও আরামদায়ক ও দ্রুত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রকল্পের ফলে কাশ্মীরের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন গতি আসবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং স্থানীয় কৃষকদের জন্য পণ্য পরিবহনের সুযোগ বাড়বে। সামগ্রিকভাবে, 'অপারেশন উন্নয়ন' কাশ্মীরের ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে