আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে যে, বাক স্বাধীনতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তা সেনাবাহিনীকে বদনাম করার জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
সম্প্রতি রাহুল গান্ধী একটি জনসভায় অভিযোগ করেছিলেন যে, ভারতীয় সেনারা মার খাচ্ছে এবং তাদের সম্মান রক্ষা করা হচ্ছে না। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যেখানে অভিযোগ করা হয় যে রাহুল গান্ধীর এই ধরনের মন্তব্য সেনাবাহিনীর মনোবল নষ্ট করছে এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
আজ মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতিরা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। একজন বিচারপতি মন্তব্য করেন, "বাক স্বাধীনতা অবশ্যই মৌলিক অধিকার, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে আপনি দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীকে অপমান করতে পারেন।" আদালত আরও উল্লেখ করে যে, সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ এবং নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত, এবং তাদের নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা উচিত নয়।
আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ঘোষণা করেছে, এবং আশা করা হচ্ছে রাহুল গান্ধীকে এই বিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করতে হতে পারে। এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং বাক স্বাধীনতার সীমা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।