এই জনগণনায় প্রথমবারের মতো জাতি এবং উপ-জাতি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যা দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন।
জনগণনার প্রথম পর্যায়টি ২০২৬ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হবে, যেখানে পার্বত্য অঞ্চলগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের মতো পাহাড়ি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো। এই অঞ্চলগুলির কঠোর শীতকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই জনগণনার মাধ্যমে নাগরিকদের কাছ থেকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
জাতিগত তথ্য অন্তর্ভুক্তির এই সিদ্ধান্ত বিরোধী দলগুলির দীর্ঘদিনের দাবির ফল। বিশেষ করে আসন্ন বিহার নির্বাচনকে সামনে রেখে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ বিহারের জনসংখ্যার একটি বড় অংশই অনগ্রসর শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এই জনগণনা দেশের জাতিগত বিন্যাস এবং সামাজিক স্তরের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আসন্ন এই আদমশুমারি হবে দু’টি ধাপে। কারণ এবার নাগরিকদের থেকে শুধু জনসংখ্যার তথ্য নয়, আরও বিস্তৃত সামাজিক ও আর্থিক তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। বিশেষভাবে যুক্ত হচ্ছে জাতি ও উপজাতি সংক্রান্ত প্রশ্ন, যা ভারতের জনগণনায় এই প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হতে চলেছে।