অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মিজোরাম, সিকিম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে এই দুর্যোগে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অসমে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যেখানে ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। রাজ্যের ২১টি জেলায় প্রায় ৬.৩৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ১৫০৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং ১৪,৭৩৯ হেক্টর জমির ফসল জলের তলায় চলে গেছে। ব্রহ্মপুত্রসহ ছয়টি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। অরুণাচল প্রদেশের ২৩টি জেলার মধ্যে ১৫৬টি গ্রামে প্রায় ১,০০০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নিম্ন সুবানসিঁড়ি জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে, যেখানে প্রায় ১৭০টি বাড়ি, ৫০টিরও বেশি রাস্তা, ১৬টি বিদ্যুতের খুঁটি, ২৫টি জল সরবরাহ লাইন এবং দুটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিজোরামে গত ১০ দিনে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের ফলে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্যোগের কারণে রেল, সড়ক ও ফেরি পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং এবং মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার সঙ্গে ফোনে বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছেন এবং কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আবহাওয়া দপ্তর আগামী দিনে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে, যার ফলে নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। এই পরিস্থিতিতে, প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দলগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।