সম্প্রতি স্পেনে একটি আন্তর্জাতিক সভায় অংশ নিয়ে তামিলনাড়ুর সাংসদ ও ডিএমকে নেতা কানিমোঝি তামিল ভাষার পক্ষে সরব হন এবং ভারতের ভাষানীতি নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানের সমালোচনা করেন। তাঁর এই বক্তব্য সভাস্থলে উপস্থিত অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং ভারতীয় দর্শকদের মধ্যে হাততালিও উঠেছে।
কানিমোঝি স্পষ্টভাবে বলেন, “ভারতের কোনও একক রাষ্ট্রভাষা নেই। আমাদের দেশ বহু ভাষার, বহু সংস্কৃতির। হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা সংবিধানের মূল ভাবনার পরিপন্থী।” তিনি আরও জানান, দক্ষিণ ভারত তথা তামিলনাড়ু কখনোই হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মেনে নেয়নি এবং ভবিষ্যতেও মেনে নেবে না।
এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলিতে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে। কেন্দ্রের ‘এক ভাষা, এক দেশ’ নীতির বিরোধিতায় বারবার সরব হয়েছে তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলি।
স্পেনের মঞ্চে কানিমোঝির বক্তব্যে আন্তর্জাতিক স্তরেও ভারতের ভাষানীতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দেশজুড়ে নানা মহলে কানিমোঝির স্পষ্ট অবস্থান এবং সাহসী বক্তব্যের প্রশংসা করছেন অনেকে।
রাষ্ট্রভাষা বিতর্কে এই মন্তব্য ভবিষ্যতে ভারতের ভাষাগত রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা এখন সময়ই বলবে। তবে স্পষ্টতই বলা যায়, দক্ষিণ ভারতের ভাষাগত স্বাতন্ত্র্য ও অধিকার রক্ষার দাবিতে কানিমোঝির কণ্ঠস্বর আরও একবার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে।