যুদ্ধবিরতি নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সকালেই ফোন আসার পরেও কেন তা কার্যকর হতে এত বিলম্ব হলো, সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল।
সূত্রে খবর, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রতিটি ধাপ এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পেছনের পুরো গল্পটি প্রকাশ্যে এনেছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে থাকা ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝা। সূত্র অনুযায়ী, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে সকালেই একটি ফোন কল আসে। তবে, এই প্রাথমিক যোগাযোগের পরপরই দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি, নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতির বিভিন্ন দিক বিবেচনা করার প্রয়োজন ছিল। সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানিয়েছেন যে, পাকিস্তানের প্রস্তাবটি পাওয়ার পর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকগুলিতে দেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা, সামরিক প্রধানরা এবং কূটনৈতিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হয় এবং দেশের স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করার উপর জোর দেওয়া হয়। প্রতিনিধিদলের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, "সকালের ফোনটি ছিল একটি সূচনা মাত্র। এরপরে আমাদের নিজেদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। দেশের সুরক্ষার সঙ্গে কোনো আপস না করেই আমরা একটি ফলপ্রসূ সমাধানের দিকে এগোতে চেয়েছিলাম।" এই দীর্ঘ আলোচনার পরই যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিনিধিদল জানিয়েছে যে, এই বিলম্বের কারণ ছিল দ্রুততার বদলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া। জনগণের নিরাপত্তা এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল তাদের স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছে এবং যুদ্ধবিরতির পেছনের সম্পূর্ণ চিত্রটি জনগণের সামনে তুলে ধরেছে।