এই হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে তেহরানও। দু'পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৮৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রবিবার সকালে ফের হামলার ঝাঁজ বাড়িয়েছে দুই দেশ। সূত্রের খবর, রবিবার সকালে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সদর দপ্তর এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজরায়েল।
শুক্রবার (১৪ জুন ২০২৫) গভীর রাতে ইজরায়েলি যুদ্ধবিমান ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায়। ইজরায়েলের দাবি, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এই অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান বারবার বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে।
ইজরায়েলি হামলার পর ইরানও দ্রুত পাল্টা জবাব দেয়। ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটির দিকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় বলে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া খবর অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ইজরায়েলি সেনা এবং ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্য উভয়ই রয়েছেন। এছাড়াও বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন দেশ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে এমনিতেই অস্থিরতা বিদ্যমান, তার উপর এই নতুন সংঘাত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলা এবং পাল্টা হামলা মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় যুদ্ধের সূচনা করতে পারে। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে এর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতির উপরও পড়তে পারে। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল এখন গভীরভাবে এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।