একইসাথে 'স্বৈরাচারী শাসক নিপাত যাও' স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে পার্শ্ববর্তী এলাকা, যা দেশটির বর্তমান অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদিও বিস্ফোরণের কারণ এবং এর তীব্রতা সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে এই ঘটনা ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতাকে নতুন করে উসকে দিয়েছে।
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াতোল্লাহর বাসভবন সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ করে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, যার পরপরই সরকার বিরোধী স্লোগান ওঠে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদের 'খামেনি নিপাত যাও' এবং 'ইসলামী প্রজাতন্ত্র ধ্বংস হোক' স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তবে এই ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন ইরান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই তীব্র চাপের মুখে রয়েছে। একদিকে ইসরায়েলের সাথে চলমান উত্তেজনা, অন্যদিকে দেশের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে চলা অর্থনৈতিক সংকট এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কারণে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে একাধিকবার ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা গেছে, যা দেশটির শাসকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিস্ফোরণের পর ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকায় কড়া পাহারা বসিয়েছে। মূলধারার ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলিতে এই বিষয়ে এখনো কোনো খবর প্রকাশিত হয়নি, যা সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে।
এই ঘটনার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী জড়িত কিনা, নাকি এটি স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষের বহিঃপ্রকাশ, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনা ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে এবং আন্তর্জাতিক মহলে দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।