ইরানের এই অতর্কিত হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বার্তাসংস্থা সূত্রে খবর, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড ইসরায়েলের একাধিক সামরিক ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।ইসরায়েলের কমপক্ষে আট শহরে আছড়ে পড়েছে মিসাইল। ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেম, বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেল আবিব এবং দক্ষিণের বেশ কিছু শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, তারা ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে, তবে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এক জরুরি বৈঠকে বসেছেন এবং ইরানকে এই হামলার কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অন্যদিকে, ইরান এই হামলাকে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি 'পাল্টা আঘাত' বলে উল্লেখ করেছে। এই হামলার পর আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অবিলম্বে উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, তবে বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই হামলার জেরে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।