মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের ইরান আক্রমণের বিষয়ে আগে থেকেই অবগত ছিলেন এবং এতে তাঁর সম্মতি ছিল বলে সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
"নো সারপ্রাইজেস" শীর্ষক এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিষয়ে সম্পূর্ণ অবহিত ছিল এবং এতে কোনো "আশ্চর্য" ছিল না। প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতেন। এই আলোচনাগুলির ফলস্বরূপ, ইসরায়েল যখন ইরানে হামলা চালায়, তখন ট্রাম্প প্রশাসন এতে অবগত ছিল এবং এক প্রকার মৌন সম্মতি প্রদান করেছিল। এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি এই রিপোর্ট সত্যি হয়, তাহলে এটি ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির একটি নতুন দিক উন্মোচন করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। যদিও ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উল্লেখ্য, ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের শত্রুতা বিদ্যমান। ইসরায়েল বারবার অভিযোগ করে আসছে যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, যা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। অন্যদিকে, ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে বলে দাবি করে। এই রিপোর্ট মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলি কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।