মুখ্য সমাচার :
দিঘায় পর্যটকদের নিরাপত্তায় কড়া নজরদারি, হোটেলগুলোর বাইরে বসানো হবে তথ্য বোর্ড সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী মোদী: বন্ধুত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচন লখনউ বিমানবন্দরে ফের হজ ফ্লাইটে জরুরি অবতরণ, ধোঁয়া আর চাকা থেকে শিখা, নিরাপদ ২৫০ হজযাত্রী দক্ষিণবঙ্গে কি অবশেষে স্বস্তির বারিধারা? বর্ষা প্রবেশের দিনক্ষণ জানাল আবহাওয়া দফতর ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: তেহরানে বিদেশমন্ত্রকে হামলা, নিহত ২৩০

পাক, তুরস্কের পর ভারতের 'পিঠে ছুরি মারা' দেশকে শায়েস্তা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

পাকিস্তান, তুরস্কের পর আজারবাইজানকে শায়েস্তা করার পথে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কড়া পদক্ষেপে এবার কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে চলেছে এই দেশ। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে হামলার মদত এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচারের অভিযোগে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে একঘরে করেছে ভারত।
Pressman
13 June, 2025
এবার সেই একই পথে তুরস্ককেও কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত সরকার।
সম্প্রতি তুরস্কের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রকাশ্যে এসেছে। কাশ্মীর ইস্যু থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তুরস্ক ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যা দিল্লির নজরে এসেছে। সূত্রের খবর, এই বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকার অত্যন্ত গুরুতরভাবে বিবেচনা করছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রক ইতিমধ্যেই তুরস্কের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

আজারবাইজানের বিশেষজ্ঞ ভারতের ভয়ে ভীত
আজারবাইজানের বিশেষজ্ঞ ফাহাদ মাম্মাদোভের মতে, ভারত পাকিস্তানের বন্ধু দেশগুলিকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করছে। ফাহাদ মাম্মাদোভ বলেছেন, ভারত নিজেকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে উপস্থাপন করে কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তার করছে। তাদের আঞ্চলিক এবং প্রতীকী উভয় ধরনের বিজয় প্রয়োজন। পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনা ভারতের এই লক্ষ্যগুলি পূরণ করে, কিন্তু পাকিস্তানের বন্ধুদের দোষী সাব্যস্ত করার লক্ষ্য তারা পূরণ করতে পারবে না। ফাহাদ মাম্মাদোভের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে তারা ভারতের ভয়ে ভীত। তারা জানে যে আজারবাইজানকে তাদের এই কাজের জন্য মূল্য চোকাতে হবে কারণ ভারত তাদের ছাড়বে না, তাই তারা এমন উল্টো-পাল্টা মন্তব্য করছে। এই মন্তব্য থেকে তাদের অস্থিরতা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

ভারত-আজারবাইজান বাণিজ্য
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে ফাহাদ মাম্মাদোভ বলেছেন যে ভারত এবং আজারবাইজান প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করে, যার একটি বড় অংশ তেল রপ্তানি। তার মতে, ভারত যদি এই তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তবুও আজারবাইজানের অর্থনীতিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেছেন যে তারা তাদের রপ্তানি পুনরায় নির্দেশিত করতে পারে, কিন্তু ভারত যদি চুক্তি লঙ্ঘন করে তবে তাদের উপর জরিমানা আরোপ করা হতে পারে। এছাড়াও, দুই দেশের মধ্যে ফার্মাসিউটিক্যালস, তথ্য প্রযুক্তি এবং শিক্ষা খাতেও সহযোগিতা বিকশিত হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই কঠোর অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্পর্কে একটি নতুন বার্তা দেবে। ভারত স্পষ্ট করে দিতে চাইছে যে, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপ কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। এর আগে পাকিস্তানকেও একইরকম কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত, যার ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তান অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, তুরস্কের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সহ বিভিন্ন কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের কথা ভাবছে ভারত। যদিও এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি তদারকি করছেন। দেশের স্বার্থে কোনো আপস করা হবে না, এই বার্তাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সরকারের পদক্ষেপে।
এই ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখছে আন্তর্জাতিক মহল। ভারতের এই পদক্ষেপ তুরস্কের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Follow Us ই-পেপার