ইজরায়েলি হামলার পর ইরানের পাশে ইসলামিক দেশগুলি: কড়া নিন্দা সৌদি আরবের, সংযম ও আলোচনার আহ্বান
ইজরায়েল কর্তৃক ইরানের উপর হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষত ইসলামিক দেশগুলি এই ঘটনার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে।
ইজরায়েলি হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। তারা এই হামলাকে 'আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন' বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে। রিয়াদ সব পক্ষের প্রতি সংলাপ ও কূটনীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।
মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি দেশ ওমানও ইরানের উপর ইজরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ওমানের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ওমান সালতানাত ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের জঘন্য সামরিক আগ্রাসনের নিন্দা জানায়, যেখানে তার সাইটগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে। ওমান এই হামলাকে উত্তেজনা বৃদ্ধির একটি বিপজ্জনক উপায় বলে মনে করে, যা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইনের নীতির চরম লঙ্ঘন। এমন আগ্রাসী আচরণ অগ্রহণযোগ্য এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলে।'
ওমানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, 'এই ধরনের হামলার ফলে কূটনৈতিক পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওমান সালতানাত এই উত্তেজনার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বিপজ্জনক পদক্ষেপ বন্ধ করার জন্য দৃঢ় ও স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানায়।'
নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাক্সন এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সতর্ক করেছেন যে মধ্যপ্রাচ্যে যেকোনো ভুল হিসাবনিকাশের ঝুঁকি অনেক বেশি এবং ওই অঞ্চলে আর কোনো সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। জাতিসংঘের মহাসচিবও উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং যেকোনো মূল্যে বড় ধরনের সংঘাত এড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন, কারণ এই অঞ্চল নতুন করে কোনো গভীর সংকট সহ্য করার মতো অবস্থায় নেই।
এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংঘাত এড়াতে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে।