ইউক্রেনের একটি সাম্প্রতিক ড্রোন হামলায় রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় দেখা দিয়েছে তীব্র উত্তেজনা ও কারফিউ-সদৃশ পরিস্থিতি। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, সোমবার রাতভর চালানো এই আক্রমণে একাধিক ড্রোন রুশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটায়।
বিশেষ উদ্বেগের বিষয়, একটি ড্রোন মস্কোর অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবনের নিকটবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানে। যদিও রুশ প্রশাসন নিশ্চিত করেছে যে প্রেসিডেন্ট নিরাপদেই রয়েছেন, তবে এই ঘটনায় রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই ঘটনার পর মস্কোর আকাশসীমায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং নাগরিকদের বাড়ির ভিতরেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শহরের রাস্তাঘাটে সেনা ও পুলিশি টহলও বাড়ানো হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনের এই পদক্ষেপ রাশিয়ার সামরিক শক্তিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করার বার্তা বহন করে। যুদ্ধের ময়দান ছাড়িয়ে এবার রাজধানী মস্কোর বুকে আঘাত হানায় স্পষ্ট যে ইউক্রেন রণনীতিতে নতুন ধাপ নিচ্ছে।
এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশ দুই পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইউক্রেন বা রাশিয়া—কোনো পক্ষই আপাতত পিছু হটার ইঙ্গিত দেয়নি।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “এই হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর।”
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও ইউক্রেন সীমান্তের বাইরে রুশ ভূখণ্ডে ড্রোন হামলার অভিযোগ উঠেছিল, তবে এবার তা সরাসরি মস্কোর উপর হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
এই হামলার প্রেক্ষিতে আগামী দিনগুলোতে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ আরও বিস্তৃত আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।