মুখ্য সমাচার :
দিঘায় পর্যটকদের নিরাপত্তায় কড়া নজরদারি, হোটেলগুলোর বাইরে বসানো হবে তথ্য বোর্ড সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী মোদী: বন্ধুত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচন লখনউ বিমানবন্দরে ফের হজ ফ্লাইটে জরুরি অবতরণ, ধোঁয়া আর চাকা থেকে শিখা, নিরাপদ ২৫০ হজযাত্রী দক্ষিণবঙ্গে কি অবশেষে স্বস্তির বারিধারা? বর্ষা প্রবেশের দিনক্ষণ জানাল আবহাওয়া দফতর ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: তেহরানে বিদেশমন্ত্রকে হামলা, নিহত ২৩০

ট্রাম্প-মাস্ক সংঘর্ষে উত্তাল মার্কিন রাজনীতি; সরকারি চুক্তি বাতিলের হুমকি ও ইলন মাস্কের পাল্টা প্রতিক্রিয়া

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
Pressman
07 June, 2025
 সম্প্রতি, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত একটি কর ও ব্যয় বিলের বিরুদ্ধে মাস্কের তীব্র সমালোচনার পর, উভয়ের মধ্যে প্রকাশ্য বিবাদ শুরু হয়েছে। মাস্ক এই বিলটিকে "জঘন্য কাজ" এবং "আমেরিকার অর্থনৈতিক ঘাটতি বাড়ানোর কারণ" হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একাধিক পোস্টে বিলটির বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন এবং যাঁরা এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাঁদের 'লজ্জিত' হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।  

ট্রাম্প এই সমালোচনাকে ভালোভাবে নেননি। হোয়াইট হাউসে জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে এক বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি মাস্ককে "মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে" বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, "যাঁর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে আমি আগ্রহী নই।" তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে মাস্কের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক হয়তো আর থাকবে না।  

এই বিবাদের পর, ট্রাম্প মাস্কের কোম্পানিগুলোর সরকারি চুক্তি এবং ভর্তুকি বাতিলের হুমকি দেন। তিনি বলেন, "আমরা সবকিছু খতিয়ে দেখব, কারণ এর পিছনে অনেক টাকা জড়িত।" এর প্রতিক্রিয়ায়, মাস্ক ট্রাম্পকে 'অকৃতজ্ঞ' বলে উল্লেখ করেন এবং দাবি করেন যে তাঁর সাহায্য ছাড়া ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে পারতেন না।  

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিবাদ মার্কিন রাজনীতি এবং ইলন মাস্কের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের জন্য সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে। একদিকে যেমন মাস্ক রিপাবলিকান মহলে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, তেমনই এই প্রকাশ্য বিবাদের কারণে তিনি উভয় শিবিরের কাছেই সমালোচিত হতে পারেন। এখন দেখার বিষয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই ক্ষমতাশালী ব্যক্তি তাঁদের তিক্ত সম্পর্ক মেরামত করতে পারেন কিনা। নাহলে এটি আধুনিক মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ লড়াই হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।  

এই বিবাদের প্রভাব ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও পড়তে শুরু করেছে। টেসলার শেয়ারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে, এবং স্পেসএক্সের কিছু প্রকল্প অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল 'দ্য আমেরিকা পার্টি' গঠনের ঘোষণাও এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।  

এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা এবং প্রযুক্তি জগতের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষের এই সংঘর্ষ কতদূর গড়াবে এবং এর প্রভাব কতটা বিস্তৃত হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
Follow Us ই-পেপার