বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বর্তমানে গভীর সংকট দেখা দিয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। দেশের মাথাপিছু দেনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার টাকা, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেকটাই বেশি। এই বিশাল ঋণের বোঝা দেশের অর্থনীতির ওপর চরম চাপ সৃষ্টি করেছে এবং জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ ও হাহাকার দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক বছরে বৈদেশিক ঋণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ ৬০৫ ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় ১৩৫ শতাংশ বেশি। মোট বিদেশি ঋণের পরিমাণ বর্তমানে ১০৩.৭৯ বিলিয়ন ডলার, যার বেশিরভাগই সরকারি খাতের ঋণ। এই পরিস্থিতিতে সরকার ব্যাংক বহির্ভূত উৎস থেকে ঋণ নেওয়া বাড়িয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগের কারণ। ঋণের সুদ পরিশোধের পরিমাণও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বাজেটের একটি বড় অংশ গ্রাস করছে। দেশের এই নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন এবং কর্মসংস্থানের অভাব মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং ঋণের বোঝা কমাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।