মুখ্য সমাচার :
দিঘায় পর্যটকদের নিরাপত্তায় কড়া নজরদারি, হোটেলগুলোর বাইরে বসানো হবে তথ্য বোর্ড সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী মোদী: বন্ধুত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচন লখনউ বিমানবন্দরে ফের হজ ফ্লাইটে জরুরি অবতরণ, ধোঁয়া আর চাকা থেকে শিখা, নিরাপদ ২৫০ হজযাত্রী দক্ষিণবঙ্গে কি অবশেষে স্বস্তির বারিধারা? বর্ষা প্রবেশের দিনক্ষণ জানাল আবহাওয়া দফতর ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: তেহরানে বিদেশমন্ত্রকে হামলা, নিহত ২৩০

"সন্ত্রাসে অভিযুক্ত হাফিজ সাইদ ও মাসুদ আজহার: রাষ্ট্রসংঘের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন, মার্কিন নীতির দ্বৈত মানের সমালোচনা"

সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত পাকিস্থানভিত্তিক দুই কুখ্যাত নেতা, হাফিজ সাইদ ও মাসুদ আজহারের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
Pressman
06 June, 2025
আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত হওয়া সত্ত্বেও এই দুই ব্যক্তিকে নিয়ে পশ্চিমা দুনিয়ার দ্বৈত আচরণ ও নীরবতা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। পাকিস্তানকে রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের তালিবান নিষেধাজ্ঞা কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানও বানানো হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নিষ্ক্রিয়তা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ে ভারতসহ একাধিক দেশ প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে হাফিজ সাইদ, যিনি ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত, এবং জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহার — যিনি একাধিক ভারতবিরোধী হামলার পেছনে রয়েছেন — তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের অভাব বিশ্বরাজনীতিতে ‘দ্বিচারিতার’ নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হলেও কিছু প্রভাবশালী দেশের নীরব সম্মতি বা বিরোধিতার কারণে সেগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "যদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে একক নীতি না থাকে, তবে এই বিপদ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।" এই ধরনের নীরবতা ও ‘গ্র্যান্ড ওয়েলকাম’ জাতীয় নীতি ভবিষ্যতে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে দুর্বল করে দিতে পারে।
Follow Us ই-পেপার