এই নিষেধাজ্ঞা ৯ জুন থেকে কার্যকর হবে। আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাদ, কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনের নাগরিকরা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।
এছাড়াও, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের উপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই দেশগুলির নাগরিকদের জন্য নির্দিষ্ট ভিসা ক্যাটাগরিতে প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মতে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে জাতীয় নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের কারণ রয়েছে। সম্প্রতি কলোরাডোর বোল্ডারে একটি ইহুদি সমাবেশে আগুনবোমা হামলার ঘটনা এই সিদ্ধান্তের পেছনে প্রভাব ফেলেছে, যদিও হামলাকারীর দেশ মিশর এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা মূলত সেই দেশগুলির নাগরিকদের বিরুদ্ধে, যাদের সরকার যথাযথভাবে নাগরিকদের পরিচয় যাচাই এবং নিরাপত্তা তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়াও, কিছু দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এই নতুন নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত ২০১৭ সালের বিতর্কিত "মুসলিম ব্যান" এর সম্প্রসারিত রূপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলি বিভিন্ন ধর্মীয় ও ভৌগোলিক পটভূমির।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কিছু দেশ এই নিষেধাজ্ঞাকে বৈষম্যমূলক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে, অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপকে জরুরি বলে দাবি করেছে।