রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের নতুন মোড়: তুরস্কের প্রকাশ্য অবস্থান ও সামরিক চুক্তি
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে। সম্প্রতি তুরস্ক সরকার রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং এরই মাঝে একটি নতুন সামরিক চুক্তির বিষয়েও আলোচনা শুরু করেছে, যা রাশিয়ার জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইসলামিক বিশ্বের এই বৃহৎ খেলোয়াড় এখন রাশিয়ার 'নতুন শত্রু' ফিনল্যান্ডের সাথে একটি বড় অস্ত্র চুক্তি করেছে। এটি কেবল একটি চুক্তি নয়, বরং রাশিয়াকে ঘিরে ন্যাটোর কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। সোমবার, প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ সহযোগিতার জন্য তুরস্ক ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে একটি বড় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে তুরস্কের এসএসবি প্রধান হালুক গরগুন এবং ফিনল্যান্ডের অলি রুতু স্বাক্ষর করেছেন। ফিনল্যান্ডের কোম্পানি প্যাট্রিয়া এবং তুর্কি কোম্পানি এএসইএলএসএএন (ASELSAN) এবং রোকেটসান যৌথভাবে অস্ত্র তৈরি করবে। এএসইএলএসএএন (ASELSAN)-এর রিমোট কন্ট্রোল অস্ত্র ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ার ৬×৬ এবং ৮×৮ সাঁজোয়া যানে স্থাপন করা হবে। এই অস্ত্র এবং যানবাহন মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার মতো বাজারে বিক্রি করা হবে। তুরস্ক ও ফিনল্যান্ডের এই জুটি কেবল ব্যবসা করছে না, এটি ন্যাটোর জন্য নতুন শক্তিও তৈরি করছে। তুরস্কের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং স্থল যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থাকলেও, ফিনল্যান্ডের আর্কটিক যুদ্ধের প্রযুক্তি এবং উচ্চ প্রযুক্তির উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা প্রধান আরও বলেছেন যে এই চুক্তি ন্যাটোর শক্তিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে সংযুক্ত করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। বিশ্ব রাজনীতিতে এই নতুন সামরিক ও কূটনৈতিক সমীকরণ কী প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলবে। তবে এটা স্পষ্ট, রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ক এখন আর আগের মতো নেই।