সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার চেষ্টা করেও পাকিস্তান প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারেনি। এই ঘটনাকে পাকিস্তানের কাশ্মীর নীতির জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং এর ফলে সেদেশের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ভারত বিরোধিতার মাঝেই হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তান ইউএনএইচআরসি (UNHRC)-তে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করেছিল, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির একটি কৌশল ছিল। তবে, বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সমর্থন না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত এই প্রস্তাব আনা সম্ভব হয়নি। কূটনৈতিক মহলের মতে, এটি পাকিস্তানের কাশ্মীর সংক্রান্ত আখ্যানের দুর্বলতা এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রতিফলন। এই ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির হতাশা সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। তিনি অতীতে বহুবার কাশ্মীরকে পাকিস্তানের "শাহ রগ" (জীবনীশক্তি) বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই ইস্যুকে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু রাষ্ট্রসঙ্ঘে এই ধরনের ব্যর্থতা তার জন্য একটি বড় রাজনৈতিক আঘাত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতা এবং কাশ্মীর উপত্যকায় পরিস্থিতির উন্নতি আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা কমিয়ে দিয়েছে। ভারত সরকার বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কাশ্মীর তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কোনও সুযোগ নেই। একই সাথে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে উপত্যকায় শান্তি ও উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। এই ঘটনা পাকিস্তানের জন্য একটি সুস্পষ্ট বার্তা যে, শুধুমাত্র ভারত বিরোধিতার উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করা কঠিন। তাদের উচিত বাস্তবতার নিরিখে নতুন নীতি গ্রহণ করা এবং কাশ্মীর ইস্যুতে একটি গঠনমূলক আলোচনার পথ প্রশস্ত করা। অন্যথায়, এই ধরনের ব্যর্থতা পাকিস্তানের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অবস্থানকে আরও দুর্বল করে তুলবে।