একটি স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য এই দুটি বিষয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। আগের বছরের চেয়ে সাত হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, দেশের সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা ক্রমশ বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং সীমিত আয়ের কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে, যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই পরিস্থিতিতে, অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে করের চাপ কমানোর একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, কালো টাকা অর্থনীতিতে একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে এই কালো টাকা সাদা করার বিভিন্ন সুযোগ দেওয়া হলেও এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিপুল পরিমাণ কালো টাকা অর্থনীতির মূল স্রোতে না আসায় একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে এটি দুর্নীতি এবং অসমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার এই কালো টাকা মোকাবিলায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেও সকলের নজর রয়েছে।