মঙ্গলবার ভোররাতে, অত্যাধুনিক জলের নিচের ড্রোন বা ইউএসভি-র সাহায্যে প্রায় ১১০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করে এই আক্রমণ চালানো হয় বলে দাবি ইউক্রেনের সেনা সূত্রের। এই সেতু রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডকে অধিকৃত ক্রিমিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করে। রাশিয়ার সামরিক রসদের জোগান এবং ক্রিমিয়ায় তাদের দখলদারিত্ব কায়েম রাখতে এই সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এটি ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অত্যন্ত সুনিয়ন্ত্রিত জলের নিচের ড্রোন নিয়ে হামলা চালানো হয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ এখনও প্রকাশ করেনি। এই হামলা রাশিয়ার কূটনৈতিক ও সামরিক পরিকাঠামোতে বড়সড় চাপ তৈরি করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অতীতে ২০২২ ও ২০২৩ সালেও একাধিকবার এই সেতু হামলার শিকার হয়েছে।ইউক্রেনের তরফে এই হামলাকে "সফল অপারেশন" হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। রাশিয়ার তরফে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই হামলা শুধু রাশিয়ার সামরিক পরিকল্পনায় নয়, গোটা যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই নতুন মোড় আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।